স্পেশাল একজিট ২০২০ (দাম্মাম-ক্বাতিফ) ! দাম্মাম ও ক্বাতিফে যে সকল প্রবাসীর ইকামার মেয়াদ নেই তারা চাইলে আজ(২৯ মার্চ) ও ৫ এপ্রিল ২০২১ এই দুই তারিখে এক্সিট ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
দাম্মাম ক্বাতিফ অঞ্চলের বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষ এক্সিটের সুযোগ
অর্থাৎ দাম্মাম ও ক্বাতিফে বসবাসকারী সৌদি আরব প্রবাসী, যাদের ইকামার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে তাঁরা দেশে ফিরে যেতে চাইলে আজ ও আগামী ৫ এপ্রিল লেবার অফিসের মাধ্যমে এক্সিট ভিসার আবেদন করতে পারবেন সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে।
তবে এর রয়েছে কিছু শর্ত
১- মুয়াসসাসা বা শরিকা দাম্মাম বা ক্বাতিফের লেবার অফিসে রেজিস্টার করা থাকতে হবে। স্পনসর বা কফিলের মালাফ অবশ্যই এই দুই লেবার অফিসের হতে হবে।
২- ইকামা অবশ্যই মেয়াদহীন হতে হবে।
৩-হুরুব থাকা যাবে না।
৪- সৌদি শ্রমমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে “মওকূফ আনিল আমাল” বা “সাসপেন্ডেড ফ্রম ওয়ার্ক” থাকা যাবে না। এবং “সিজিল গাইর নাশত” থাকা চলবে না।
৫-ওই প্রবাসীর ট্রাভেলিং এর উপর নিষেধাজ্ঞা বা নিজ দেশে ফিরে যেতে বাধা আছে এমন কোন মামলা থাকলে তিনি এই এক্সিট ভিসার আবেদন করতে পারবেন না।
কিভাবে কি কি করতে হবে
দাম্মাম লেবার অফিসের সামনের দোকানগুলি হতে অনেকগুলো দোকান আছে তিন পাতার এক্সিট ভিসার ফরম আছে কালেক্ট করতে হবে।
এরপর সেটি কম্পিউটার মারফৎ পূরণ করে সকল পাতাতেই টিপসই দিয়ে, এর সাথে ইকামার কপি লাগিয়ে লেবার অফিস গেটে দূতাবাস প্রতিনিধির কাছে জমা দিতে হবে।
এটি জমা দেওয়ার প্রায় ১৪-১৫ দিনের মাঝে লেবার অফিস থেকে একটি টোকেন প্রদান করতে হবে।
ওই টোকেনের সাথে পাসপোর্ট এবং ইকামার কপি লাগিয়ে খোবার ত্বোকবা সফর জেলে জমা দিতে হবে।
এরপর সেখান থেকেই এক্সিট ভিসা পাওয়া যাবে।
সব মিলিয়ে এক্সিট ভিসার জন্য প্রায় ২১ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
একজিট পাওয়ার পরপর নিজ খরচে খুব তাড়াতাড়ি সৌদি আরব ত্যাগ করতে হবে।
উল্লেখ্য যে এভাবে দেশে ফিরে গেলে ওই প্রবাসী আবার নতুন ভিসায় সৌদি আরব আসতে পারবেন।
যাদের কাছে আসল পাসপোর্ট নেই কেবল ফটোকপি আছে আবেদন করতে পারবেন তাঁরাও। তবে এই ক্ষেত্রে টোকেন পাওয়ার পর দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে তার ফটোকপি ইকামার কপির সাথে সফর জেলে জমা দিতে হবে।
যাদের শরিকা/মুয়াসসাসা দাম্মাম বা ক্বাতিফে, ইকামা নেই, হুরুব নেই তাদের যদি হুদুদ নাম্বার থাকে তাহলে সেটি দিয়ে এপ্লাই করতে পারবেন।
কফিলের ফাইল কোন মক্তব আমলে সেটি যদি কেউ না জানেন তাহলে দাম্মাম ধরে আবেদন করতে পারেন। যদি সেটি আসলেই দাম্মাম হয় তাহলে কাজ হয়ে যাবে না হলে ফিরত দেওয়া হবে।
এই আবেদন করতে সফর জেল বা অন্য কোথাও কোনরূপ অর্থ বা টাকা পয়সার দরকার নেই।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যার আবেদন তাকেই জমা দিতে হবে। অন্য কাউকে পাঠানোর সুযোগ নেই।
সৌদি আরবের অন্যান্য অঞ্চলে এই এক্সিট ভিসা ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে, দাম্মামেও যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যাবে।
কাজেই বন্ধ হবার আগেই যারা আবেদন করতে চান করে ফেলতে পারেন।
Source from dakghar