সৌদি প্রবাসীদের কোয়ারেন্টাইনে ভর্তুকি দেবে সরকার!?

মন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের ভোগান্তি ও কষ্ট কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে

সৌদি নিউস বাংলা। 



সৌদি আরবে ফেরত যাওয়া প্রবাসীদের জন্য সেখানকার হোটেলে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা সরকারি উদ্যোগে করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।


 তিনি আরো বলেন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় কিংবা বিমান বাংলাদেশ থেকে প্রবাসীদের তালিকা নিয়ে এ ব্যবস্থা নেবে রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন। হোটেলে খরচ বেশি লাগলে সরকার ভর্তুকিও দেবে।







পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন সৌদি প্রবাসীদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করবে সরকার, প্রয়োজনে দেওয়া হবে ভর্তুকিও। এ বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। গতকাল ২৭ মে (বৃহস্পতিবার) নিজ দফতরে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ তথ্য জানান।


মন্ত্রী জানান, সৌদি আরবে যারা যাবে তাদেরকে ওখানে গিয়ে সাতদিন হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।সে কারণে আমাদের প্রবাসীদের যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় তারা খরচের সাথে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না, কারণ খরচ বেশি। আবার ওরা যেটা হোটেল নির্দিষ্ট করে দিয়েছে, যার খরচও অনেক।


প্রবাসীদের ভোগান্তি ও কষ্ট কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, “আমি আমাদের মিশন ও রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, আপনারা যারা এখান থেকে যাবে তাদের লিস্ট প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় বা বিমান দেবে, যারা যারা যাবে তাদের নাম পাঠালে মিশন থেকে হোটেলের ব্যবস্থা করবে।”








পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৯ মে থেকে প্রবাসীদের নিয়ে বিমানের ফ্লাইট সৌদি আরবে যাবে। খরচ যদি একটু বেশি লাগে, সেটা আমরা ভর্তুকি দেব। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর এটা করা উচিত। তার সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে, তারা এটা করবেন। কারণ প্রবাসীরা আমাদের সম্পদ, এখানে বসে থাকলে অসুবিধায় থাকবে।


এছাড়াও প্রবাসীদের টিকা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “একটা প্রস্তাব এসেছে, যারা মধ্যপ্রাচ্যে যায়, তাদের অধিকাংশের বয়স ২০-৪০ বছরের মধ্যে। কিন্তু আমাদের ডোজ যেটা, এটা ৪০ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীদের জন্য।


“মধ্যপ্রাচ্যে ডাবল ডোজ হলে কোয়ারেন্টিন করতে হয় না। ডাবল ডোজ থাকলে আর পিসিআর টেস্ট নেগেটিভ থাকলে বাসায় যাওয়া যাবে। বাসাবাড়িতে গিয়ে কোয়ারেন্টিন করবে। আমার প্রস্তাব করতে চাই, যারা প্রবাসী তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার ২০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়ার।”



এ বিষয়ে শুক্রবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।


তিনি বলেন, “একটা আছে জনসন অ্যান্ড জনসন, এক ডোজের করোনা টিকা, আমরা এটা নিয়ে কালকে আলাপ করব, আমার দেখার চেষ্টা করব। “এটা যদি হয়, তাহলে ওদের অনেক উপকার হবে, ঝামেলা কম হবে। আমরা এটা চিন্তাভাবনা করতেছি, তবে এখনো কিছু হয় নাই। আমাদের ভ্যাকসিনের অভাব, তবুও কালকে আলোচনা করব।”


এছাড়াও, করোনা ভাইরাসের টিকার ঘাটতি মেটাতে অস্ট্রেলিয়ার অতিরিক্ত মজুদ থেকে সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 


Sourse

Post a Comment

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال