আগে থেকেই যারা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন তাদেরকে এই টিকা আগে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে আগামী সপ্তাহ থেকেই দেশে ফাইজার ও সিনোফার্মার টিকা প্রয়োগ শুরু করা হবে। এর আগে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, “আগে থেকেই যারা টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন তাদেরকে এই টিকা আগে দেওয়া হবে।”
আগামী সপ্তাহ থেকেই দেশে ফাইজার ও সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ শুরু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ ১৪ জুন (সোমবার) এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে চীনের উপহার হিসেবে পাওয়া সিনোফার্মের টিকা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফাইজার টিকা আগামী সপ্তাহে প্রয়োগ শুরু হবে।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, তাপমাত্রার জটিলতার কারণে এই টিকা শুধু ঢাকা মহানগরীর কিছু হাসপাতালে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সিটিটিউটে ফাইজারের টিকা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সিনোফার্মের টিকা প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বলেন, সাধারণত মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সিনোফার্মের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে সারাদেশে সরকারি ৩৭টি মেডিকেল শিক্ষার্থীর টিকা দেওয়া শুরু হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চীনের টিকা দেওয়া হবে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ও সিনোফার্মের পর তৃতীয় টিকা হিসেবে বাংলাদেশে এসেছে ফাইজারের কোভিড-১৯ টিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গঠিত টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা সোমবার (৩১ মে) রাতে এসে পৌঁছেছে। রাত সোয়া ১১টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এই টিকা ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে।
এ সময় টিকা নিতে বিমানবন্দরে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। ডা. শামসুল হক বলেন, “১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এসেছে। এগুলো আমাদের ইপিআইয়ের নির্ধারিত স্টোরেজে নিয়ে রাখা হবে।”
এছাড়াও গত ১৩ জুন (রোববার) বিকেলে চীনের উপহারের আরও ছয় লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছায়। এর আগে গত ১২ মে বাংলাদেশকে ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছিল চীন। এছাড়াও চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা পেতে আলোচনা চলছে। সেটা এলেই প্রথম ডোজ পূর্ণাঙ্গভাবে টিকা দেওয়া শুরু করা যাবে।
অন্যদিকে, দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২ হাজার ৪৩৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল আক্রান্ত ছিল ২,৫৭৬ জন। এর ফলে দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৯২২ জন।
এছাড়া করোনায় নতুন করে মারা গেছেন আরো ৪৭ জন। এ নিয়ে দেশে ক’রোনায় মৃত্যু হলো মোট ১৩,১১৮ জনের।গতকাল প্রাণহানি হয়েছিলো ৩৯ জনের।
গত ২৪ ঘন্টায় ১৮,৭৪৯ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৬১ লক্ষ ২১ হাজার ৪৩৪ টি।
এছাড়া ক’রোনা ভাইরাস থেকে আজ আরো ২,২৪২ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এর ফলে এখন পর্যন্ত ক’রোনা থেকে সুস্থ হলেন ৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৬৬ জন।