Trending

শুধু করোনা প্রতিরোধ নয়, যেকোনো প্রয়োজনে চীন সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

 ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দুই দফায় ১১ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। গত ১৩ জুন সর্বশেষ ছয় লাখ টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।

المصدر /  Source - BanglaNews - 24

বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে করোনা প্রতিরোধে চীনের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। শুধু করোনা প্রতিরোধ নয়, যেকোনো প্রয়োজনে চীন সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

বুধবার (১৬ জুন) হাইব্রিড ধানের জনক অধ্যাপক ইউয়ান লংপিং স্মরণে বাংলাদেশ সিড  অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএ) আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সিড অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।


হাইব্রিড জাতের ধানের উদ্ভাবক হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পাওয়া এই বিজ্ঞানী দারিদ্র বিমোচনসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। গত ২২ মে চীনের হুনান প্রদেশের একটি হাসপাতালে ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা যান। তার স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়।


রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষা সরঞ্জামসহ বাংলাদেশকে নানা ধরনের চিকিৎসা সহযোগিতা করেছে চীন। তার দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। ভবিষ্যতেও সব ধরনের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।


তিনি বলেন, চীন ও বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তায় ইউয়ান লংপিংয়ের অবদান অবিস্মরণীয়।  ১৯৫০ সালে চীনে মাত্র ৭ মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন হতো। হাইব্রিড জাত উদ্ভাবনের পর পাঁচ দশকের ব্যবধানে সেটি পাঁচ গুণ বেড়েছে। চীনের অর্ধেকের বেশি জমিতে এখন হাইব্রিড ধানের আবাদ হচ্ছে। মোট চাল উৎপাদনের প্রায় ৬০ শতাংশই হাইব্রিড। চীনে এখন ৮০ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ হচ্ছে। বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র বিমোচনে তার অবদান অবিস্মরণীয়।


বিএসএ সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সুপ্রীম সিড কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুম, বিএসএ- এর সাধারণ সম্পাদক এফ আর মালিক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও এসিআই অ্যাগ্রিবিজনেস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ড. এফ এইচ আনসারী, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া প্রমুখ।



সভায় আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ক্ষুধা নিবারণ, দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুদ্র কৃষকদের আয় বাড়ানো এবং খাদ্য নিরাপত্তায় কাজ করেছেন লংপিং। সারাবিশ্বের অর্ধৈক মানুষ প্রধান খাবার হিসেবে চালের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে আফ্রিকা ও এশিয়ার দরিদ্র দেশে। 

খাদ্য নিরাপত্তায় তার এ অবদানের জন্য বিশ্ব তাকে চিরজীবন স্মরণ রাখবে।


সভায় বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাইদ শাহীন বলেন, গত কয়েক দশকে চীন বাংলাদেশে বৈদেশিক এইড বাবদ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন করেছে। কিন্তু অধ্যাপক ইউয়ান লংপিং উদ্ভাবিত হাইব্রিড ধানের উৎপাদন ও সুযোগ ব্যয় মূল্য হিসেবে নিলে তার অর্থনৈতিক মূল্য ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বৈশ্বিক এই ভিশনারী বিজ্ঞানিক শুধু খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র বিমোচন ছাড়াও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা অবীস্মরণীয়।

author-img
Saa7oo

Comments

      No comments
      Post a Comment

        نموذج الاتصال

        websitemonafizamazonandroidfindersafariapplebasecampbehancebloggerchromedeliciousdeviantartdiscorddribbbledropboxellomessengerfacebookfirefoxflickrgithubgoogle-drivegoogle-playIEinstagramjoomlakafilkhamsatkicklanyrdlastfmlinkedinlinuxedgeonedrivewindowsmostaqlnpmoperapatreonpaypalpinterestquoraredditrenrenrsssina-weiboskypesnapchatsoundcloudstack-overflowsteamstumbleupontelegramthreadstiktoktradenttrellotumblrtwitchtwittervimeovinevkwhatsappwordpressXxingyahooyoutube