ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার কাজিরহাট বাজারের মুহাম্মদ ইদ্রিছ (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীর ফাঁসিতে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২ জুলাই) রাতে ভূজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূজপুর এলাকার মৃতের নিজ বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, তিনি ঐ এলাকার মৃত মুন্সি মিয়ার ছেলে।
উল্লেখ্য, নিহত ইদ্রিছের স্ত্রী-সন্তান শহরে বসবাস করলেও তিনি একা বাড়িতেই থাকতেন। স্থানীয় কাজিরহাট বাজারে তার একটি মুদি দোকান রয়েছে।
প্রতিদিন সকালে তিনি দোকান খুললেও আজ দোকান খুলেননি। সে কারণে দোকানের গ্রাহক ও পরিচিতজনরা তাকে ফোন করেও পাচ্ছিল না।
পরে বাড়িতে খবর দিলে রাত ৮ টার দিকে প্রতিবেশী মাসুদ ও ফোরক নামে দুইজন ঘরে গিয়ে ডাকতে থাকেন।
তাতেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে তারা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন । এ সময় ঘরের মাঝখানের কক্ষের ভিমের সাথে গামছা দিয়ে ঝুলানো অবস্থায় ইদ্রিছের লাশ দেখতে পান।
পরে ভূজপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে লাশের নিচে কয়েক ফোটা রক্ত দেখা গিয়েছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ব্যাপারে লাশ উদ্ধারে নেতৃত্ব দেওয়া ভূজপুর থানার এসআই জয়নাল আবেদীন বলেন, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক অশান্তি বা হতাশাজনিত কোনো কারণে তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে, খবর নিয়ে জানা গেছে, ইদ্রিছের তিন ছেলের মধ্যে প্রথম সন্তান সাইমন একটি বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ছেলের মেডিকেলে ভর্তির বড় অংকের টাকার যোগাড় নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে টেনশনে ছিলেন ইদ্রিছ। এ নিয়ে স্ত্রীর সাথেও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় বলে সূত্রে জানা গেছে।
এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়দের অনেকে। তবে ঝুলন্ত লাশের এক পা মোড়ার সাথে লেগে থাকা এবং লাশের নিচে রক্ত দেখা যাওয়া নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করছেন এলাকাবাসী।
source dakghar24