মোঃ রাজু শেখ ( সাব্বির )
ডুমুরিয়ায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খর্ণিয়া ব্র্যাক শাখা অফিসের সামনে সরকারী খাল ভরাট করে অবৈধ বালু বেড স্থাপনের ফলে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করেছে স্থানীয় রেজওয়ান মোড়ল নামের এক প্রভাবশালী।
এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে তলিয়ে গেছে প্রায় ১০একর জমির সবজি ক্ষেত।
উপায়ন্ত না পেয়ে খুলনা জেলা প্রশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
বার বার পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক মোঃ হানিফ মোড়ল স্বাক্ষরিত অভিযোগ উল্লেখ করেন, উপজেলার কৃষি খ্যাত খর্ণিয়া এলাকায় বর্ষা মৌসুমে ডোংরা খাল হয়ে ভদ্রদিয়া স্লুইচ গেট দিয়ে পানি নিস্কাশন হয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ।
সম্প্রতি ওই এলাকার আয়নাল হক মোড়লের ছেলে রেজওয়ান মোড়ল খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খর্ণিয়া ব্র্যাক শাখা অফিসের সামনে সরকারী খাল ভরাট করে অবৈধ বালু ব্যবসা চালিয়ে আসছে দেদারছে।
এতে পানি নিস্কাশনের বিকল্প কোন পথ না থাকায় বৃষ্টি মৌসুমে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে কৃষক হানিফ মোড়লের ওল, লালশাক ক্ষেত, জাহাঙ্গীর মোড়লের কচুরমুখী, হলুদ, আশরাফুলের পটল, লালশাক, শহিদুল ইসলামের পেঁপে, পটল, শিম, ছকিনা বেগমের লালশাক ক্ষেতসহ কবর স্থান। সবমিলে তাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারী রেজওয়ান মোড়ল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ৩ বছর আগে এখানে ভরাট করে ব্যবসা করে আসছি। এর আগে তেমন অসুবিধা হয়নি।
এবছর অতি বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আমার নিজের উদ্যোগে স্যালোমেশিন বসিয়ে পানি নিস্কাশন করা হচ্ছে। শীঘ্রই ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হবে। ঘটনা প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, বিষয়টি আমি জানি,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
BanglaNewsGlobal