শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পূজামণ্ডপকে ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। এখানে কোভিডবিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। শেষ পর্যন্ত দর্শকদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
পূজামণ্ডপের বর্ণিল আলোকসজ্জা আগেই নিভিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানা গেছে, বুধবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে শ্রীভূমির পূজায় প্রবেশ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। দর্শকদের সরিয়ে ফাঁকা করে দেওয়া হয় মণ্ডপ।
এর আগে শ্রীভূমির ‘বুর্জ খলিফা’-য় লাগানো লেজার আলোয় দমদম বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে বলে আপত্তি উঠেছিল। তার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় লেজার আলোর খেলা।
জানা গেছে, সেখানের আলোর ঝলকানি নিয়ে তিনজন পাইলটের অভিযোগ করেন। তারা বলেন, লেজার রশ্মির বিকিরণে তাদের বিমান চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। এর পরই এ অভিযোগ চলে যায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে। তারপর মণ্ডপের আলো নিভিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মহাসপ্তমির রাত থেকেই বুর্জ খলিফা’র লেজার লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক দিন ধরে আকর্ষণীয় এ পূজামণ্ডপ দেখার জন্য সেখানে ভিড় জমাচ্ছিল মানুষ। দীর্ঘ ১৪০ ফুট উঁচু মণ্ডপ দেখতে প্রচণ্ড ভিড় হচ্ছিল। করোনা বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে মণ্ডপ ঘিরে প্রবল ভিড় জমার কারণেই সাময়িকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব চিত্র।
Image Source ananadabazar
প্রসঙ্গত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবারের দুর্গাপূজার মূল আকর্ষণ হয়ে ওঠে উত্তর কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পূজামণ্ডপ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে নির্মিত বিশ্বের সর্বোচ্চ অট্টালিকা বুর্জ খলিফার আদলে তৈরি করা হয় এটি। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের মূল পৃষ্ঠপোষক হলেন রাজ্যের দমকল ও বিপর্যয় দপ্তরের মন্ত্রী সুজিত বসু।