মালয়েশিয়ায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বসবাস ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৯৫ বাংলাদেশিসহ অন্তত ২৯৭ জনকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ অক্টোবর) দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতো ইন্দেরা খাইরুল যাইমি বিন দাউদ এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে সেমেনিহ এলাকার শ্রমিক হোস্টেলের ৭টি ব্লকে অভিযান চালিয়ে প্রাথমিকভাবে ৩২৬ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ২৯৭ জনকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ১১২ জন ইন্দোনেশিয়ান, ৯৫ বাংলাদেশি, ৬৬ মিয়ানমার, ১৩ ভিয়েতনাম ও একজন ঘানার নাগরিক রয়েছেন।
এ অভিযানে সহায়তা করেন পুত্রাজায়া, কুয়ালালামপুর, সেলাঙ্গর, নেগারি সেম্বিলান ইমিগ্রেশন, জেনারেল মুভমেন্ট টিম (পিজিএ), স্টেট রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেপিএন), শ্রম বিভাগ (জেটিকে) এবং সিভিল ডিফেন্স ফোর্সেস (এপিএম) নিয়ে গঠিত অন্তত ১৩৬ জন এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক আরও বলেন, দেশটির শ্রম আবাসন আইন ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে এবং আবাসন ও কর্মচারি সুবিধা আইন ৪৪৬ লঙ্ঘন করে ঘনবসতিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন এসব শ্রমিক।
দেশটির অভিবাসন বিভাগ বিদেশি কর্মীদের জন্য অস্থায়ী কর্মসংস্থান পরিদর্শন পাস (পিএলকেএস) ভিসাধারীদের জন্য সরকারের কাছে একটি নতুন নীতির প্রস্তাব করবে। যেখানে বিদেশি শ্রমিক আবাসন ও সুযোগ-সুবিধা আইন ৪৪৬ অনুযায়ী ন্যূনতম মান বজায় ও মেনে চলার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পরই কেবল নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মীদের কাজে যোগদান করতে পারবেন।
তিনি বলেন, নির্দেশিকা ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) তৈরির আগে আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (কেডিএন), মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় (কেএসএম) এবং জনশক্তি বিভাগের (জেটিকে) কাছে প্রস্তাবটি জমা দেওয়া হবে।
এদিকে আটকদের প্রথমে কোভিড-১৯ টেস্ট করা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় ডিটেনশন সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অভিবাসন বিভাগ।