রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
Bangladesh Embassy in Riyadh
সৌদি আরবে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। আজ বিকালে দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
সভায় দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান আবুল হাসান মৃধা ও ডিফেন্স এ্যটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ সিদ্দিকী বক্তব্য প্রদান করেন।
সভায় বক্তারা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।
স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের, নির্যাতিত দুই লক্ষাধিক মা বোনদের যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে ডিসেম্বর মাসে দেশের বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল বিক্রমের সামনে টিকতে না পেরে গণহত্যাকারী পাকিস্তানি হানাদার সেনারা যখন মাথানত করে আত্মসমর্পণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন তার অব্যবহিত আগে তারা এক জঘন্য নীলনকশা করেছিল।
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী স্বাধীন বাঙালি জাতিকে মেধা-মননহীন করে তুলতে তারা বেছে বেছে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ সমাজে সৃজনশীলতায় অগ্রণী মানুষদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করে।
এই হত্যাযজ্ঞে সরাসরি সহায়তা করেছিল তাদের পদলেহী এ দেশের রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে যারা ঘৃণিত, ধিকৃত কিছু কুলাঙ্গার।
তাঁরা চেয়েছিল বাঙালি জাতিকে মেধাহীন পঙ্গু জাতিতে রুপান্তর করতে, যাতে স্বাধীনতা অর্জন করলে ও এ জাতি যেন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। যে জাতিকে তাঁরা মেধাহীন পঙ্গু করে দিতে চেয়েছিল সে জাতি আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০৪১ সালে একটি উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্ভর একটি অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে শহীদদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
সভায় উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান ও কাউন্সেলর মোঃ বেলাল হোসেন। সভার শেষে মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।