সিলেটে বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন।
সিলেটে বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আজ ১৭ জুন (শুক্রবার) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, অসামরিক প্রশাসনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটে বন্যা নিয়ন্ত্রনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সিলেটে বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন
ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে সিলেট জেলার নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নদীর তীর উপচে নতুন করে বিভিন্ন বাড়িঘরে পানি ঢুকছে।এমন অবস্থায় বন্যাকবলিত পরিববারগুলো দীর্ঘস্থায়ী দুর্ভোগের আশঙ্কা করছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সিলেট নগরের ৮ থেকে ১০টি এলাকা ছাড়াও জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও সদর উপজেলার অন্তত ৫০০ গ্রাম এরই মধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এসব এলাকার একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে।
সিলেট বিমানবন্দরের রানওয়েতে বন্যার পানি, ফ্লাইট ওঠা–নামা বন্ধ
বন্যার পানি রানওয়ের কাছাকাছি চলে আসায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা–নামা বন্ধ রাখা হয়েছে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ ফ্লাইট বন্ধের খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বন্যার পানি ইতোমধ্যেই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছাকাছি চলে এসেছে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতিদিনের মতোই আমাদের ফ্লাইটগুলো বিমানবন্দরে অবতরণ ও বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছে।
কিন্তু রানওয়ের কাছাকাছি বন্যার পানি চলে আসায় এখন থেকে আর কোনো ফ্লাইটের অবতরণ কিংবা উড্ডয়ন সম্ভব হবে না বলে মনে হচ্ছে। অফিসিয়ালি ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা চলে আসবে।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেট-সুনামগঞ্জ, পানিবন্দি লাখো মানুষের দুর্ভোগ চরমে
প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্লাবিত এলাকাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। এ অবস্থায় পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আরাফাত-আল-মাজিদ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বন্যায় ব্যাপকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। ২ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা এখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।’
সিলেট নগরীর উপকন্ঠে কুমারগাঁও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পানি বাড়তে শুরু করায় যে কোনো সময় সিলেট নগরীসহ জেলার বাকি এলাকাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
বন্যায় সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, সিলেট সদর উপজেলা ও সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার বড় অংশ প্লাবিত হয়েছে। সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, মধ্যনগর, সদর উপজেলা ও সুনামগঞ্জ শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন বন্যার পানিতে প্লাবিত।
সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ আকার ধারণ করা বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি
সুনামগঞ্জ ও ছাতকের পাওয়ার গ্রিড বন্ধ করা হয়েছে। সিলেট কুমারগাও পাওয়ার গ্রিডকে চালু রাখা না গেলে, পুরো সিলেটের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল হয়ে পরবে। সবশেষ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সিলেট বিমানবন্দরের রানওয়েতে পানি প্রবেশ করায় ইতিমধ্যে সিলেট বিমানবন্দরের ফ্লাইট উঠানামা আগামী ৩ দিনের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সিলেটের সড়কগুলো যেন একেকটি নদী!
সিলেটের বন্যা কবলিত মানুষের জন্য চাইলে আপনিও সাহায্য করতে পারেন।সাহায্য করতে চাইলে এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন।সুহান সৌদি আরব 0555293349সাহায্য করতে এই নাম্বারে বিকাশ করতে পারেন01713814983প্রবাসী হোপ সংগঠনের মাধ্যমে আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবো।সাহায্য করতে না পারলে দোয়া করবেন তবে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করবেন না।আমরা কেউই অভাবে নেই যে চাঁদা তুলে চলতে হবে।মানবতার খাতিরে উদ্যোগ নিয়েছি,আপনিও চাইলে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করতে পারেন।মানবতার সেবায় প্রবাসীরা সবসময় সবার আগে
Source Dakghar24
Bangla News Source