সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য পন্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফুডেক্স সৌদি মেলায় রাষ্ট্রদূত

 


সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য পন্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফুডেক্স সৌদি মেলায় রাষ্ট্রদূত

সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য ও জুসসহ বিভিন্ন পানীয় পন্যের চাহিদা থাকায় আগামী দিনে এ সকল পন্যের রপ্তানি বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য ও জুসসহ বিভিন্ন পানীয় পন্যের চাহিদা থাকায় আগামী দিনে এ সকল পন্যের রপ্তানি বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ২৬ লক্ষ বাংলাদেশি অভিবাসী ও অন্যান্য এশিয়ান দেশের অভিবাসীদের কাছে বাংলাদেশি পন্যের চাহিদা রয়েছে যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে সৌদি নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হলে সৌদি আরবে বাংলাদেশি পন্যের বিশাল বাজার তৈরির সুযোগ রয়েছে। গতকাল রিয়াদের আন্তর্জাতিক এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় পন্যের মেলা “ফুডেক্স সৌদি” তে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম(বার) এসব কথা বলেন। 

রিয়াদে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৪দিন ব্যাপি নবম আন্তর্জাতিক ফুডেক্স সৌদি মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় ৩০ টি দেশের প্রায় দুই শতাধিক কোম্পানি অংশগ্রহণ করে। রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে বাংলাদেশের ৪টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হল, বেঙ্গল মিট প্রসেসিং, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, বসুন্ধরা ফুড এন্ড বেভারেজ এবং এস এন্ড বি নাইস ফুড ভ্যালি লিঃ। 


সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য পন্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফুডেক্স সৌদি মেলায় রাষ্ট্রদূত

গতকাল রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ মেলা পরিদর্শন করেন। 
এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশী পন্য বিশ্বমানের এবং আশা করা যায় মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশী খাদ্য পন্যের বাজার ও রপ্তানী আরও বৃদ্ধি পাবে।
 সৌদি আরবের বাজারে মাছ-মাংসসহ  সকল খাদ্যপন্য প্রবেশের ক্ষেত্রে যে সকল মান অর্জন দরকার তা নিশ্চিত করে পণ্য রপ্তানি সুগম করার জন্য দূতাবাস নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।



 আগামী দিনে সৌদি আরবের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন। 

সৌদি আরবে ইতোমধ্যে প্রাণ, বিডি ফুডসহ বিভিন্ন বাংলাদেশি কোম্পানির পণ্য বাজারে রয়েছে, যা বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তিনি এসকল পণ্যের বাজারজাতকরণ, প্রচার এবং উন্নতমানের প্যাকেজিং এ গুরুত্বারোপ করেন। সৌদি আরব প্রায় ৮০ শতাংশ খাদ্যপণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকে তাই এখানে বাংলাদেশী খাদ্যপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। মেলায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ নিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।  সৌদি বায়ার, বাংলাদেশী অভিবাসীগণ ও বিভিন্ন দেশের মানুষ মেলায় বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন।

ফুডেক্স সৌদি মেলায় বাংলাদেশি খাদ্য পন্য নিয়ে চার বৃহৎ কোম্পানি

Demand for Bangladeshi food products

দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান আবুল হাসান মৃধা, মিনিস্টার এস এম রাকিব উল্লাহ, ইকোনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান, কাউন্সেলর (শ্রম) মুহাম্মদ রেজায়ে রাব্বী, প্রথম সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, প্রথম সচিব মনজুর-ই-মাওলা, ও সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি তৌফিকুর রহমান মেলা পরিদর্শন করেন।

Source:
Embassy of Bangladesh Riyadh


Post a Comment

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال