ইকামা না থাকলে পুলিশ আপনার সাথে কি করতে পারে।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আশা করি আপনারা ভালো আছেন।
সৌদি আরবে ইকামাহীন প্রবাসীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। অনেক প্রবাসীরা চাই ধরা দিয়ে দেশে চলে যেতে , আবার অনেক প্রবাসীরা চাই সুস্থভাবে কাজকর্ম করে সৌদি আরবে থাকতে।
৫-৬ বছর আগে লোকজনের যখন ইকামার মেয়াদ না থাকতো তখন কিন্তু সহজে ঘর থেকে বের হতো না কারণ সে সময় দেখা গেছে ইকামার মেয়াদ না থাকলে পুলিশ আটক করে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেশে পাঠিয়ে দিত। করোনা কালিন সময়ে দেখা গেছে ইকামার মেয়াদ না থাকলেও বা ইকামা না থাকলেও তেমন লোকজন আটক করে নাই কারণ তখন ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ছিল।
করোনা পরবর্তী সময় থেকে এই পর্যন্ত দেখা গেছে সৌদি আরবের পুলিশ অনেকটাই বেশি মানবিক হয়ে উঠেছে। তারা সহজে কাউকে আটক করে না বা আটক করে থাকলে অনেক কে থানা থেকে ছেড়ে দিচ্ছে বা সফর জেল থেকে ছেড়ে দিচ্ছে। আপনারা অনেকেই জানেন শতশত প্রবাসীরা বিভিন্ন কারণে পুলিশকে ধরা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে আবার অনেককে আটক করার পরেও ছেড়ে দিচ্ছে।
ইকামা না থাকলে পুলিশ আপনার সাথে কি করতে পারে।
সাধারণত যাদেরকে ইকামা না থাকার কারণে না বা মেয়াদ নাথাকার কারণে আটক করে নিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিচ্ছে বা হাতের আঙ্গুলের চাপ নিচ্ছে তাদের প্রাথমিক জরিমান হচ্ছে ১০১৫ রিয়াল। বলতে গেলে বর্তমানে ইকামার মেয়াদ না থাকলে পুলিশ আটক করতেছে না কিন্তু যারা শ্রম আইন লঙ্ঘন করতেছে বা বিশেষ অভিযানে ধরা পড়তেছে তাদের ইকামার মেয়াদ থাকলেও পুলিশ আটক করো দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
ইকামা না থাকলে পুলিশ আপনার সাথে কি করতে পারে।
বিশেষ অভিযান বলতে মক্তব আমেলের অভিযান বিভিন্ন দোকানপাট বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এবং তাদের নামে ১০ থেকে ২০ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করে থাকে। প্রতি সপ্তাহের রিপোর্টে দেখা যায় শ্রম আইন লঙ্ঘনের অপরাধে ২৫০০ থেকে ২৮০০ পর্যন্ত লোক মক্তব আমেলের অভিযানে ধরা পড়ছে।
ইকামার মেয়াদ না থাকলে পুলিশ আপনাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে এরপর আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিচ্ছে বা সবকিছু চেক করে আবার আপনাকে ছেড়ে দিচ্ছে।
কিন্তু একটা কথা খেয়াল রাখবেন ভবিষ্যৎ সর্বদা অনিশ্চিত।
তাই প্রতিটি সরকারের অনুরোধ যে দেশে বসবাস করবেন ওই দেশের নিয়ম কানুন মেনে চলা বা শ্রম আইন লঙ্গন না করা।
ভালো থাকবেন।
Essa
30/04/2023 - Saa7oo.com